ভাবছিলাম তেমন কিছু আর ফেসবুকে লিখব না, তার পরেও না লিখে থাকতে পারলাম না। বড় বেদনার্ত হস্তে কয়েকটি কথা লিখতে বাধ্য হলাম...................!!!!!
.... প্রথমে আমি নিজেকে একটু গালি দিয়ে নিচ্ছি, তারপর সমাজ ও রাজনৈতিক দলগুলোকে। আসলে আমরা বড় আজিব বাঙালী আমরা ভেবেছি মনে হয় স্বাধীন দেশে বাস করি বলে সব কিছুতেই স্বাধিকার ভাবে চলতে ভালবাসি... সব ভূল। যদিও আজ আমরা স্বাধীন দেশে বাস করতেছি আমরা কিন্তুু একদম স্বাধীন না, আমাদের গলার মধ্যে বাংলার নোংড়া সমাজ ও ইতিবাচক নোঙড়া রাজনৈতিক দল ধাড়ালো ছুড়ি ধরে রেখেছে।
........ গত ছয় বছর আগের কিছু ইতিহাস ও ট্রাজেডির উপর লক্ষ করে দেখি। সব হত্যা সহ নানা অ-কর্মের বিচার পেয়েছি কিনা।
উত্তরবঙ্গের সিমান্তবর্তী কুড়িগ্রাম জেলার ফেলানির কথা হয়তো আপনাদের মনে নেই, ফেলানি হত্যার পর যতগুলো ইস্যু চলে গিয়েছে মনে না থাকারেই কথা। শুধু বছরে একবার ফেলানি হত্যার শোক পালন করলেই আমাদের মত জাতী দায়বদ্ধতা পালন হয়ে যাবে। আর কিছুই না........!!!
আমরা কখনই বিচার পাইনি ফেলানি হত্যার বরং বার বার বিচারের কাঠগড়ায় দাড়িয়ে ধর্ষিতার রুপচিত্র দেখে এসেছে ফেলানির বাবা। আর বার বার ফেলানি হত্যার বিচারের নামে বিভিন্ন নাটক করে কবর থেকে লাশ উত্তলন করে আর একবার ফেলানিকে ধর্ষনের সুযোগ করে দিয়েছে সরকার সমাজ ও জনগণ।........... ফেলানি কিন্তুু মরার পরেও ধর্ষিতা হয়েছেন।
বিডিআর বিদ্রহের কথা আপনাদের স্বরণ থাকার কথা ফেলানি হত্যার মত বিশ্ব মিডিয়ায় না উঠলেও বড়ই দুঃখপ্রবণ হয়ে যাই আমরা বাঙালী জাতী। নিহত হলো অফিসার্স সেনা, বিচার চাইলাম আবার আন্দলন করলাম, আজকাল করতে করতে বিচার হলো একদিন। সুস্ঠ বিচার পেলাম কি পেলাম না তা দেখতে দেখতে আবার নতুন ইস্যু...... শুরু হলো হেফাজতে ইসলাম।
৫ মে অন্ধকারে আগমন ঘটল হিফাজতে ইসলামের সমাবেশ। ক্যাবল মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া, অনলাইন মিডিয়া বন্ধ হঢে গেল। হত্যা করা হলো বাংলাদেশের অনেক আলেমকে। ধংস্ব করা হলো ইসলামের বাতিকে। আমরা আবার আন্দলন শুরু করে দিলাম। বিচার চাই বিচার চাই বলে.... বিচার চাই বলতে না বলতেই শুরু হলো রানা প্লাজার ট্রাজেডির কথা।
শ্রমিক মারা গেল নাটক হলো সিনেমা হলো কিন্তুু বিচার হলো না। আবারও কিছুদিন বিচার চেয়ে একটু হলেও দায়বদ্ধতা পালন করে নিলাম রানা প্লাজার সকল শ্রমিক কর্মচারী কর্মকর্তাের জন্য। এভাবেই আবার নতুন ইস্যু এসে আমাদের কাছে দাড়ালো নাঃগন্জের সাত খুন।
.
নাঃগন্জে সাত খুন দেখে আমাদের তেমন হতবাক হওয়ার চেহেরা খুজে পাই নি। কারন আমাদের দেশে খুনের সংবাদ দেখে দেখে আর আগের মত আতংকে পরিনত হয়ে যাই না। অভ্যাস হয়ে গেছে। আবার নূর মোহাম্মদ এর জন্য বিচার চাইলাম। অবরোধ অনশন করে খুনিদের বিচারের দাবিতে মরিয়া হয়ে উঠলাম। খুনি ধরা পড়তে না পড়তেই আবার নতুন ইস্যু এসে দাড়াল রাজন হত্য........!!!
শিশু রাজন হত্যা হলো ভিডিও ফাঁস হলো আমরা ইউটিইব থেকে ডাউনলোড করে নিয়ে দেখলাম অন্যদের দেখালাম আর আফসোস করতে করতে আবারও রাজপথ কাঁপাতে লাগলাম রাজন হত্যার বিচার চাই বিচার চাই। গেল কয়েকমাস কেটে আবার আমরা নতুন ইস্যুর জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করা শুরু করে দিলাম এবং খুব তারাতারি চলেও আসলো তনু নামের এক বোন ধর্ষিতার খবর।
ফ্রি সেক্স এর দেশ নয় বলে বাংলাদেশের এমন অবস্থা এটা মনে করাই স্বাভাবিক। ফ্রি সেক্স হলে ভালই হতো আজ আমাদের সমাজের জন্য কারন প্রতিদিন ধর্ষিতা হচ্ছে অনেক মা বোন। প্রতিদিন ধর্ষিতা হলেও তারা কিন্তুু খুন হন না, বেশি হলেও দুই একদিন গুম হয়ে ধর্ষিতা হতে থাকেন তারপর বের হয়ে এসে মামলা করেন বেশ কয়েকদিন যেতে না যেতেই ঐসব আর মনে না করে নিজের কাজে ব্যস্ত থাকেন।
...................... উপরের অনেক বকবক করেছি এবার আসল কথায় হাত দেই, বেশি বলা ভাল না আবার, না হলে নতুন ইস্যুর ইতিহাস লেখতে পারব না।
আজ আদালতে আবার নতুন কিছু শোনা গেল যে তনুর লাশ কবর থেকে তোলার পর তার শশীরে কোন ধর্ষনের আলামত পাওয়া যায় নি। হয়তো আত্নহত্যা করেছে মেয়েটি। এমন খবর শোনা মানে আসমান থেকে পড়া সমান কথা। আরে আমরা যার জন্য রাস্তা ঘাট কাটাচ্ছি সে মেয়েটি ধর্ষিতা নয়....??? বড়ই সেলুকাস মনে হবে আমাদের। সত্যিই তনুর লাশ বিচারের নামে কবর থেকে তুলে তনুকে আরেকবার ধর্ষন করে নিল...!!!!
উপরক্ত _______ কয়েকটি ঘটনার সুষ্ঠ বিচার আমরা কখনই পাইনি। হয়তো পাবও না, আগে খুনি ধর্ষকদের শাস্তি হত ফাসির কাঠগড়ায়। আর এখন খুণি ধর্ষকদের বিচারের নামে জেলে আটকিয়ে নিরাপত্তা দিয়ে খাওয়ানো হয় বিড়িয়ানি গরুর রোস্ট সহ জামাই আদর দিয়ে।
__________________ কি আজব তাই না...?? সত্যিই ফেলানির মত আজকে তনুও মৃর্তুর পর ধর্ষিতা হয়ে গেল.......
(সাইদুর রহমান সিদ্দিক)
0 $type={blogger}:
Post a Comment
Thank's for your comment.