ইন্টারনেটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ব্লগ ও ব্লগিং বিষয়ক কিছু তথ্য আমার ব্লগ এর পাঠকদের জন্য তুলে ধরছি। ইতিমধ্যে হয়তো অনেকে জেনেছেন ব্লগ কি? ব্লগ কেন? ব্লগ কত প্রকার ইত্যাদি সম্পর্কে। আসুন জানার চেষ্টা করি ব্লগ ও ব্লগিং বিষয়ক কিছু তথ্য।
ব্লগ ও ব্লগিং করে কি আয় করা যায়?
এই প্রশ্নের উত্তর দু’ভাবে দিতে চাই।
এক। ব্লগিং করা সম্পূর্ন ফ্রি। কিছু অলাভজনক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা বিনামূল্যে ব্লগ তৈরি করার সুযোগ দিয়ে থাকে। ব্লগ করতে আপনাকে কোন টাকা ব্যয় করতে হবে না বরং আপনি আপনার ব্লগ থেকে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এখন মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে, ব্লগ করলে কে এবং কেন আমাকে টাকা দেবে? বিষয়টা এমন। মনে করুন, আপনি একটা ব্যক্তিগত ব্লগ সাইট যে কোন প্লাটফরমে খুললেন এবং আপনি নিয়মিত বিভিন্ন বিষয়ের বা নিদ্দিষ্ট কোন বিষয়ের উপর লিখছেন। আপনার ব্লগে প্রতিদিন হাজার হাজার ভিজিটর পড়তে আসে।আপনি মুলত: এই সুযোগটাকেই কাজে লাগাচ্ছেন। অনেক প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি যেমন, মাইক্রোসফট, ইন্টেল, আইবিএম এসব কোম্পানি বিভিন্ন Ads Network এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগে বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। আপনি যদি কোন Ads Network এর পাবলিশার হয়ে যাবেন তারা আপনার ব্লগে বিজ্ঞাপন দিবে। আপনার ব্লগের ভিজিটররা যদি সেই বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে তাহলে একটি নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ পাবেন। কি বিষয়টা বুজে আসলো?
দুই। আরেকটু সহজ করে বলি।মনে করুন। কলেজ বা ভাসির্টি পড়ার সময় শিক্ষা সফরে যাচ্ছেন। একটা বিশেষ ক্রোড়পত্র বের করছেন। খরচ সাশ্রয় করার জন্য কিছু প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির নিকট থেকে ক্রোড়পত্রে বিজ্ঞাপন নিলেন।এবার নিজেকেই প্রশ্ন করুন টাকাটা আপনি কেন পেলেন? আশা করছি বিষয়টা পরিস্কার করা হয়েছে।
ব্লগ ও ব্লগিং করতে কি টাকা লাগে?
ব্লগ করতে টাকাতো একটু আপনার লাগবেই।যেমন আপনি ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কম্পিউটার ব্যবহার করছেন, ইন্টারনেটে ডাটা ব্যবহার করছেন, বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন। এখানে কিন্তু আপনার টাকা কিছুটা হলেও খরচ হচ্ছে। এ গুলো যদি আপনার কাছে খরচ মনে না হয় তাহলে বলবো ব্লগ বা ব্লগিং করতে আপনার কোন টাকা লাগবে না। আবার ব্লগ বা ব্লগিং করতে আপনার টাকাও লাগবে। বিষয়টা নির্ভর করছে আপনার নিজের উপর।
কোথায় ব্লগ ও ব্লগিং করবো?
বর্তমান বিশ্বে অনেক ওয়েব সাইট আছে যারা ব্লগ খুলতে সহায়তা করে এবং তাও আবার ফ্রি ডোমেন এ। তবে আপনি টাকা দিয়ে তাদের কাছ থেকে ডোমেন কিনেও কিংবা বাহির থেকে ডোমেন কিনে তাদের সাথে যুক্ত করতে পারেন। এই রকম কিছু সাইট হলো: blogger.com,wordpress.com, blog.com ইত্যাদি। এই সাইট গুলো অত্যন্ত জনপ্রিয়। কোথায় ব্লগ খুলবো? নতুনদের জন্য আমার সাজেসন্স থাকবে blogger.com এ কারন এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় সার্চ ইঞ্জিন google.com এর তাই আপনি অনেক সুযোগ সুবিধা পাবেন। আবার wordpress.com ও কিন্তু blogger.com এর চেয়ে কোন অংশে কম নয়।
কিভাবে ব্লগ তৈরি করবো ?
আমরা যদি ব্লগিং করার সহজ ও সুবিধাজনক প্ল্যাটফর্ম বেছে নিই তবে ব্লগার.কম কেই বেছে নিতে হবে। তা হলে চলুন ব্লগার.কম এ একটি ব্লগ তৈরির প্রক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নিই। এখানে নিবন্ধন করার জন্য প্রথমে আপনার প্রয়োজন হবে একটি ইমেইল এড্রেসের। যা দিয়ে আপনাকে ব্লগার.কম এ নিবন্ধন করতে হবে।
ধরা যাক, আমাদের একটি ইমেইল এড্রেস আছে।
ধরা যাক, আমাদের একটি ইমেইল এড্রেস আছে।
এই পেজ থেকে Start Blogging বাটনে ক্লিক করতে হবে। এর পরের পেজে আপনি আপনার ব্লগে পোস্ট সংযুক্ত করতে পারবেন এবং নিজের ইচ্ছামত কাস্টমাইজ করতে পারবেন।
ব্লগে কি ধরনের লেখা লিখতে পারেন
সামাজিক ব্লগ গুলো একজন ব্লগারের স্বাধীন মতামত প্রকাশের অন্যতম একটি জায়গা। মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে বলেই যে আপনি যেকোন ধরনের আপত্তিকর লেখা পোস্ট করবন তা কখনই হবেনা। ব্লগে সাধারনত সমসাময়িক বিষয়গুলো নিয়েই বেশি লেখালেখি হয়ে থাকে। এছাড়াও আপনি ব্লগে ধর্ম, রাজনীতি, অর্থনীতি, প্রযুক্তি, সরকারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণীমূলক লেখা, ছবি পোস্ট, ব্যক্তিগত অনুভুতি টিপস পোস্ট, টেকনোলোজি বিষয়ক সহযোগীতামূলক পোস্ট সহ বিভিন্ন ধরনের লেখা পোষ্ট করতে পারেন। এছাড়াও আপনি যদি কবি সাহিত্যিক লেখক বা কলামিস্ট হন বা হতে চান তবে আপনি আপনার কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস, কলাম ইত্যাদি ব্লগে পোস্ট করতে পারেন। সামাজিক ব্লগগুলোতে রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় বিষয়গুলো নিয়ে ব্লগারদের মধ্যে তুমুল আকারে ঝগড়া লক্ষ্য করা যায়। আপনিও আপনার আদর্শের পক্ষে এই ব্লগীয় ঝগড়ায় অংশগ্রহন করতে পারেন তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই ব্লগের নীতিমালার দিকে নজর রাখতে হবে।
কিভাবে করবেন সফল ব্লগ বা ব্লগিং?
ব্লগিং সার্থকতার অন্যতম প্রধান শর্ত হলো ব্যতিক্রমধর্মী রচনা। নিচের কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরন করে আপনার ব্লগ লিখলে আপনার ব্লগটি শুধু জনপ্রিয়তাই পাবে না, এটি পাঠককে আবার আপনার ব্লগে আসতে আগ্রহীও করবে।
(১) ব্লগের মূলভাষ্যঃ
প্রতিটি ব্লগই একটি নির্দিষ্ট শ্রেণীর পাঠককে লক্ষ্য করে লেখা উচিত। আপনার ব্লগের প্রধান পাঠক শ্রেণী চিহ্নিত করুন। কোন কোন পাঠক আপনার ব্লগটি পড়বেন এবং কেন? আপনি আপনার ব্লগের মাধ্যমে কি অর্জন করতে চান শুধু এটাই ভাববেন না। পাঠক আপনার কাছ থেকে কি চায় সেটিও ভাবুন। তারপর সিদ্ধান্ত নিন, কোনটি আপনার জন্য উপযুক্ত এবং তারপর সেটির উপর লিখুন।
(২) দ্বিধাহীন বক্তব্যঃ
আপনার লেখায় মনের ভাব প্রকাশে কখনই দ্বিধা করবেন না। এতে লেখাটি পাঠকের কাছে আপনার পরিচয় করিয়ে দেবে। মনে রাখবেন পাঠকের সাথে আপনার সম্পর্ক যত বেশি ঘনিষ্ট হবে আপনার ব্লগ এর সফল হবার সম্ভাবনা তত বেশি থাকবে।
প্রতিটি ব্লগই একটি নির্দিষ্ট শ্রেণীর পাঠককে লক্ষ্য করে লেখা উচিত। আপনার ব্লগের প্রধান পাঠক শ্রেণী চিহ্নিত করুন। কোন কোন পাঠক আপনার ব্লগটি পড়বেন এবং কেন? আপনি আপনার ব্লগের মাধ্যমে কি অর্জন করতে চান শুধু এটাই ভাববেন না। পাঠক আপনার কাছ থেকে কি চায় সেটিও ভাবুন। তারপর সিদ্ধান্ত নিন, কোনটি আপনার জন্য উপযুক্ত এবং তারপর সেটির উপর লিখুন।
(২) দ্বিধাহীন বক্তব্যঃ
আপনার লেখায় মনের ভাব প্রকাশে কখনই দ্বিধা করবেন না। এতে লেখাটি পাঠকের কাছে আপনার পরিচয় করিয়ে দেবে। মনে রাখবেন পাঠকের সাথে আপনার সম্পর্ক যত বেশি ঘনিষ্ট হবে আপনার ব্লগ এর সফল হবার সম্ভাবনা তত বেশি থাকবে।
(৩) শুধু লিংক দিয়ে দায় মুক্ত হবেন নাঃ
ব্লগিং একটি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই অনেক সময় দেখা যায় অনেকে তাদের পোষ্টে অন্য আরেকটি অনলাইন পোষ্টের লিংক যোগ করে দিয়ে দায়মুক্ত হতে চান। এই ভুলটি কখনই করবেন না। পাঠক আপনার লিংকের মাধ্যমে কোন মজার কিছু পড়তে চান না। এমনও হতে পারে পাঠক আপনার ব্লগ থেকে আপনি তাকে যেখানে পাঠাচ্ছেন সেই ব্লগটি বেশি পছন্দ করে ফেলতে পারে। ফলে আপনি পাঠক হারাবেন। বরং পাঠক ধরে রাখতে আপনার ব্লগে উক্ত লিংকের উপর আপনার মতামত জানিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য লিংকটি দিয়ে দিতে পারেন। মনে রাখবেন কোন মন্তব্য ছাড়া একটি লিংক পাঠক হারানোর প্রথম লক্ষণ।
(৪) উৎস সরবরাহ
কখনই কোন অনলাইন ব্লগ বা ওয়েবসাইট থেকে লেখা চুরি করে কপিরাইট লঙ্ঘনের চেষ্টা করবেন না। এতে যেমন আপনি আইনি জটিলতায় পড়তে পারেন তেমনি পাঠকও হারাতে পারেন। তবে আপনি যদি কোন ওয়েবসাইটে এমন কোন তথ্য পান যা আপনি আপনার ব্লগে আলোচনা করতে চান তাহলে ঐ ব্লগ বা ওয়েবসাইটের একটি লিংক যুক্ত করে দিন, তাহলেই আর কোন সমস্যা থাকবে না তবে কপি পেস্ট এড়িয়ে চলাটাই অতি উত্তম।
ব্লগিং একটি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই অনেক সময় দেখা যায় অনেকে তাদের পোষ্টে অন্য আরেকটি অনলাইন পোষ্টের লিংক যোগ করে দিয়ে দায়মুক্ত হতে চান। এই ভুলটি কখনই করবেন না। পাঠক আপনার লিংকের মাধ্যমে কোন মজার কিছু পড়তে চান না। এমনও হতে পারে পাঠক আপনার ব্লগ থেকে আপনি তাকে যেখানে পাঠাচ্ছেন সেই ব্লগটি বেশি পছন্দ করে ফেলতে পারে। ফলে আপনি পাঠক হারাবেন। বরং পাঠক ধরে রাখতে আপনার ব্লগে উক্ত লিংকের উপর আপনার মতামত জানিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য লিংকটি দিয়ে দিতে পারেন। মনে রাখবেন কোন মন্তব্য ছাড়া একটি লিংক পাঠক হারানোর প্রথম লক্ষণ।
(৪) উৎস সরবরাহ
কখনই কোন অনলাইন ব্লগ বা ওয়েবসাইট থেকে লেখা চুরি করে কপিরাইট লঙ্ঘনের চেষ্টা করবেন না। এতে যেমন আপনি আইনি জটিলতায় পড়তে পারেন তেমনি পাঠকও হারাতে পারেন। তবে আপনি যদি কোন ওয়েবসাইটে এমন কোন তথ্য পান যা আপনি আপনার ব্লগে আলোচনা করতে চান তাহলে ঐ ব্লগ বা ওয়েবসাইটের একটি লিংক যুক্ত করে দিন, তাহলেই আর কোন সমস্যা থাকবে না তবে কপি পেস্ট এড়িয়ে চলাটাই অতি উত্তম।
(৫) লেখাকে সাজান
আপনার ব্লগ পোষ্টের দৃষ্টিনান্দকিকতা আপনার আলোচনার বিষয় বস্তুর মতোই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ব্লগ পোষ্টটি ছোট ছোট অনেকগুলো প্যারা করে সাজান। প্রতিটি প্যারায় সম্ভব হলে দুই বা তিনের অতিরিক্ত বাক্য ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। বেশিরভাগ পাঠক অনেক বাক্যের জড়োসড়ো করে সাজানো ব্লগ পড়তে আগ্রহী হন না। ব্লগে যথেষ্ঠ ফাকা জায়গা পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষনে সক্ষম হয় এবং পাঠককে সম্পূর্ণ ব্লগ পোষ্টটি পড়তে আগ্রহী করে। তবে সবসময় অল্প কথায় পোষ্ট দেবার চেষ্টা করুন যা পাঠক সহজে পড়তে পারে।
আপনার ব্লগ পোষ্টের দৃষ্টিনান্দকিকতা আপনার আলোচনার বিষয় বস্তুর মতোই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ব্লগ পোষ্টটি ছোট ছোট অনেকগুলো প্যারা করে সাজান। প্রতিটি প্যারায় সম্ভব হলে দুই বা তিনের অতিরিক্ত বাক্য ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। বেশিরভাগ পাঠক অনেক বাক্যের জড়োসড়ো করে সাজানো ব্লগ পড়তে আগ্রহী হন না। ব্লগে যথেষ্ঠ ফাকা জায়গা পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষনে সক্ষম হয় এবং পাঠককে সম্পূর্ণ ব্লগ পোষ্টটি পড়তে আগ্রহী করে। তবে সবসময় অল্প কথায় পোষ্ট দেবার চেষ্টা করুন যা পাঠক সহজে পড়তে পারে।
ব্লগ ও ব্লগিং এর শাস্তি
প্রত্যেক সামাজিক ব্লগ সাইটেরই নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম-নীতি থাকে যা মেনে চলে ব্লগিং করতে হয়। কোন ব্লগার যদি উক্ত নীতিমালা ভঙ্গ করেন তবে ব্লগ সাইটের মডারেশন বোর্ড তাকে শাস্তি দেবার অধিকার রাখেন। শাস্তি স্বরুপ আপনার নির্দিষ্ট পোস্ট কিংবা মন্তব্য আপনার কিংবা লেখকের অনুমতি ছাড়াই মুছে দিতে বা ব্লগ থেকে সরিয়ে দিতে পারেন। এছাড়াও আপনার নীতিমালা ভঙ্গের অপরাধের মাত্রা যদি খুব বেশী হয় তবে আপনাকে ব্লগের সুযোগ সুবিধা কমিয়ে দিতে পারে, এমনকি আপনাকে পুরোপুরি ব্যান বা লগইন ব্যান করতে পারে। লগইন ব্যান করলে আপনি আপনার এ্যাকাউন্ট আর কখনই ব্যবহার করতে পারবেন না। তাই ব্লগ এ্যাকাউন্ট খুলে প্রথমেই ব্লগের নীতিমালা গুলো ভালভাবে জেনে-বুঝে ব্লগিং করা উচিৎ।
মানুষের তথ্য এবং গবেষনায় ব্লগ বা ব্লগিং খুবইগুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখে চলেছে। মানুষ তারপ্রয়োজন, সুবিধা, অসুবিধা ইত্যাদি ব্লগেরমাধ্যমে সহজেই উপস্থাপন করতে পারছে। ফলেদিন দিন বিশ্বব্যাপী ব্লগ সর্ববৃহৎ গণমাধ্যমহিসেবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। আপনি যদি একজনব্লগার হন তবে এ সম্পর্কে আপনার দৃষ্টিভঙ্গিনিম্নের মন্তব্যের ঘরে লিখুন। আমরা নতুনরা আপনার কাছ থেকেই হয়তো শিখে নেব। ভালথাকবেন সবাই।
সাথে থাকুন ব্লগ বিষয়ে আরো কিছু তথ্য সহসাই পাবেন। লেখাটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন।
তথ্যসুত্রঃ ইন্টারনেট ও বিভিন্ন ব্লগ সাইট ।
0 $type={blogger}:
Post a Comment
Thank's for your comment.